অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে বিচারকরা ইলেকট্রোরাল ইনকুয়েরি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। এটা এবার হবে (ডিসেম্বর মাস) সিভিল কোর্ট বন্ধের সময়। সিভিল কোর্ট বন্ধের কারণে ঐ দায়িত্বটা যাতে বন্ধ না থাকে সেই আহ্বান জানিয়েছি। যদি থাকে, তাহলে আমাদের কাজটা পিছিয়ে যাবে।
বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সিইসি গণমাধ্যমে এ কথা জানান। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব:), বেগম রাশেদা সুলতাম, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
সিইসি বলেন, তফসিলের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে নির্বাচনকালীন মাঠ পর্যায়ে যেসব জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন তাদের ডিসেম্বর ও জানুয়ারি সময়কালে ফ্রি ও প্রস্তুত রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে।
দুই বড় রাজনৈতিক দলের সমঝোতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, একেবারেই সত্য কথা না। এসব নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠকে করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও ইসির চার কমিশনার সুপ্রিম কোর্টে যান। বিকেল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজনীতির মাঠে সংঘাত আর সহিংসতার মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে বুধবার।
নিয়ম অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
Leave a Reply